আগামী ১১ জুন রাতে বাংলাদেশসহ উত্তর গোলার্ধের আকাশে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন—বছরের এক বিশেষ পূর্ণিমা, যা এ বছর আরও ব্যতিক্রমী হয়ে উঠছে এর নিচু কক্ষপথের কারণে।
পূর্ণিমা মানেই চাঁদের অপার সৌন্দর্য, আর ‘স্ট্রবেরি মুন’ সেই সৌন্দর্যের মাঝে যুক্ত করে একটি বিশেষ তাৎপর্য। প্রতিবছর জুন মাসে দেখা মেলে এ পূর্ণিমার, যার নামকরণ যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসী সম্প্রদায়ের দেওয়া। বুনো স্ট্রবেরির মৌসুম শুরুর সময় হওয়ায় চাঁদটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ট্রবেরি মুন’।
ইউরোপে একে ‘রোজ মুন’ এবং উত্তর গোলার্ধে ‘হট মুন’ নামেও ডাকা হয়। এই সময়েই শুরু হয় গ্রীষ্মকাল, গরম বাড়ে, আর প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, স্ট্রবেরি মুন দেখা যাবে ১১ জুন সূর্যাস্তের পর পূর্ব আকাশে। যদিও ইউটিসি সময় অনুযায়ী এটি পূর্ণতা পাবে সকাল ৭টা ৪৪ মিনিটে।
এ বছর চাঁদটি অবস্থান করবে দিগন্তের কাছাকাছি, যা একে আরও বড় ও উজ্জ্বল মনে করাবে। এই দৃষ্টিভ্রমকে বলা হয় 'মুন ইলুঝন' বা ‘চাঁদের মায়া’।
২০২৫ সাল আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে কারণ প্রায় ২০ বছর পর স্ট্রবেরি মুন ও গ্রীষ্মকালীন দ্রাক্ষায়ণ (Summer Solstice) একসঙ্গে পড়ছে। গ্রীষ্মের সূচনায় দিন হয় দীর্ঘ, রাত হয় ছোট—এই সময়টিকে উদযাপন করা হয় আলো, জীবন ও উর্বরতার উৎসব হিসেবে।
বিভিন্ন সংস্কৃতিতে স্ট্রবেরি মুনকে ভালোবাসা, পূর্ণতা, কৃতজ্ঞতা ও আত্মউন্নয়নের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। জুন মাসে বিয়ের প্রচলন ও 'হানিমুন' শব্দটির উৎপত্তিও এই সময়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে করা হয়।
এই পূর্ণিমা শুধু আকাশে নয়, হৃদয়ের মধ্যেও আলো ফেলবে—প্রকৃতি ও মানুষের এক অসাধারণ মিলনের মুহূর্ত হিসেবে।