গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে রাজধানীর কাঁচাবাজারে শাকসবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় এ মূল্যবৃদ্ধি হলেও ডিম ও মুরগির বাজারে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
শুক্রবার (২০ জুন) যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, দোলাইরপাড়সহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাউ, কুমড়া, করলা, পটল, ঢেঁড়স, বরবটি, বেগুন, শসাসহ বেশ কিছু সবজির কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টির কারণে মাঠে পানি জমে গেছে, ফলে সবজি তোলা ও শহরে পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরবরাহ কম থাকায় দামও কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে বাজারে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। ঝিঙা, বরবটি, ঢেঁড়স, কাঁকরোল, করলা, বেগুনের দাম ৪০-৬০ টাকা; পেঁপে, পটোল, চিচিঙা, ধুন্দল ও লতির দাম ৪০-৫০ টাকা কেজি। লাউ ও জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শসা (দেশি) ৫০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ২০ টাকা, কাচামরিচ ৪০-৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা ও টমেটো ৪০-৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
তবে ডিম ও মুরগির বাজারে রয়েছে স্থিতিশীলতা। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে; যা ঈদের আগে ছিল ১৭০-১৮০ টাকা। সোনালি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা আগের দরের চেয়ে ২০-৩০ টাকা কম।
মাছের বাজারেও রয়েছে স্থিতিশীলতা। রুই ২৮০-৪০০, কাতল ৩০০-৩৪০, পাবদা ২৫০-৩৫০, চিংড়ি ৬৫০-৮০০, টেংরা ৪০০-৫০০, শিং ৩০০-৪৫০, কৈ ২০০-২২০, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে দেশি জাতের শিং ও কৈ যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ক্রেতা বলেন, “অনেক দিন ধরে ১৮০-২০০ টাকায় মুরগি কিনছি। এখন ১৪০ টাকায় পাচ্ছি। কিন্তু জানি না আবার কবে দাম বেড়ে যায়। বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙলে সাধারণ মানুষের রক্ষা নেই।”
সবজি বিক্রেতা জয়নাল বলেন, “বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম একটু বেশি। আমরাও চড়া দামে সবজি কিনে আনছি।”
বিক্রেতারা আশা করছেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে দুই এক দিনের মধ্যেই সবজির সরবরাহ বাড়বে এবং দামও আবার নিয়ন্ত্রণে আসবে।