নতুন মোড় নিল ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত। টানা ৯ দিন বিভিন্ন হুমকি-ধমকির পর অবশেষে এ সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘পরম বন্ধু’ ইসরায়েলের ডাকে সাড়া দিয়ে ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়েছে দেশটি। হামলায় ব্যবহার হয়েছে ভয়ংকর বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান।
যদিও ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে পরিচালিত এ হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে হামলার আগেই গুরুত্বপূর্ণ সব সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে ইরান। এদিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাও (আইএইএ) নিশ্চিত করেছে যে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর এখন পর্যন্ত সাইটের বাইরের রেডিয়েশনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে এবার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। দেশটির জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ধ্বংসের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে সময় লাগবে।
রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন এখনও হয়নি। সেখানে এখন কী আছে বা কী নেই, সে সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি।
মার্কিন এ কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮ ঘণ্টার ফ্লাইট শেষে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে হামলা চালায় তাদের বি-২ বোমারু বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একাধিক শাখা পরিকল্পিতভাবে ও সমন্বিতভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেছে।
তিনি আরও জানান, হামলার সময় কোনো প্রতিরোধ পদক্ষেপ নেয়নি ইরান। ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে একটিও গুলি ছোড়া হয়নি।