গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে বেশ কিছু সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর আলোকে নেওয়া ১২টি নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যম সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়।
নতুন গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—
সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়ন
পত্রিকার প্রচারসংখ্যা নিরীক্ষাপদ্ধতি সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠন
পত্রিকার বিজ্ঞাপন হার যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি
শ্রোতা, দর্শক ও পাঠকের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি যাচাইয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে বার্ষিক জরিপ
বিজ্ঞাপন শিল্পে অনৈতিক যোগসাজশ বন্ধে প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা
এছাড়া,
এফএম রেডিও লাইসেন্সের জামানত ফি কমানো
বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ২ শতাংশ সরকারি ফি বাতিল
বিনামূল্যে সরকারি ঘোষণা প্রচারের বাধ্যবাধকতা বহাল রাখা
কলাম লেখক, শিল্পী, উপস্থাপকদের সম্মানীর ওপর অগ্রিম কর রহিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
আপ-লিংক ও ডাউন-লিংকে বিএসসিএল ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত
পাশাপাশি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পাঠ্যধারা যুগোপযোগী করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার দিকেও অগ্রসর হচ্ছে মন্ত্রণালয়।