সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ৩ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ৩ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক সাত মামলায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সকালে আনিসুল হক, দীপু মনি, আমু, সালমান এফ রহমান, পলকসহ ৩৯ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার ও গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম। 

এর আগে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর একই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পরে সময় আরও দুই দফা বাড়ানো হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন তারা। ওই সময় সংঘটিত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচার চলছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী সময়ে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারই জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়।


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ