সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত ভর্তিতে শূন্য থাকা আসনে ফের লটারির নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক ও ঢাকা মহানগরীর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
মাউশি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনের বিপরীতে যে সব প্রতিষ্ঠানে আবেদন কম পড়েছে অথবা শূন্য আসন পূরণ হয়নি, সে সব প্রতিষ্ঠানে ফের লটারি হবে।
এক্ষেত্রে এক শ’ টাকা মূল্যে আবেদন ফরম বিতরণ করে ম্যানুয়ালি স্থানীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালা অনুসারে ভর্তি কমিটির অনুমতি নিয়ে লটারি করতে হবে। লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের সময় কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্লাসের শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ১২ ডিসেম্বর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এবং ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ বছর লটারিতে সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনে ভর্তি হতে লড়ছে ৫ দশমিক ৮ জন।
বেসরকারিতে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি। ফলে বেসরকারি আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭ টি।