শীত এলে বেশি কিছু রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার উৎপাত। দেখা দেয় লিভার, হার্টজনিত নানা সমস্যা। এসময় ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কিন্তু কেন? শীতে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ার কারণ কী? এ থেকে মুক্তিই বা কী করে পাওয়া যায়?
শীতে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ে কেন?
চিকিৎসকের মতে, শীতকাল মানেই বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ, বর্ষশেষের উদযাপন, পিকনিক বা ট্যুরে জম্পেশ খাওয়া-দাওয়া। কেউ কেউ আবার করেন মদ্যপান। অন্যদিকে শীতকাল এলে কমে যায় শরীরচর্চা, হাঁটাচলা তথা ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি। আর তাই খাওয়াদাওয়ার যত অনিয়ম তার অংশ সহ্য করতে হয় লিভারকে।
ফাস্টফুড, তেলেভাজা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে লিভারে ফ্যাট জমতে থাকে। যারা ইতোমধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন, তাদের সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। এমনকি যাদের এই সমস্যা নেই, তাদেরও বাড়ে ঝুঁকি। ফ্যাটি লিভার হলে কী হয়?
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে ওজন বেড়ে যেতে থাকে। আর লিভারে চর্বি জমা এর অন্যতম কারণ।
ফ্যাটি লিভারের কারণে অনেকের ভাইরাল হেপাটাইটিস হতে পারে। এর মধ্যে হেপাটাইটিস এ ও ই বেশি হয়। শীতে অ্যালকোহল গ্রহণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দেখা দেয়।
শীতে লিভার সুস্থ রাখার উপায়
চিকিৎসকের মতে, লিভার ভালো রাখার একমাত্র উপায় লাইফস্টাইল অর্থাৎ জীবনযাপনের কায়দায় কিছু নিয়ন্ত্রণ আনা। কিছু বিষয় খেয়াল রাখা গেলে লিভারের সমস্যা এড়ানো যাবে সহজেই।
সীমিত পরিমাণে খাওয়াদাওয়া
শীতকালে এমনিও শরীরের কম ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। তাই এসময় সীমিত পরিমাণে খাবার খেতে হবে। বিয়েবাড়ি, নিমন্ত্রণের কারণে বেশি খাবার খেয়ে ফেললে শরীরচর্চার দিকেও মন দিতে হবে। বেশি খেলে ব্যায়াম করে ঝরিয়ে ফেলতে হবে অতিরিক্ত ফ্যাট।
নিয়মিত শরীরচর্চা
যত শীতই পড়ুক, নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। চিকিৎসকের মতে, লিভারের ফ্যাট কমাতে এটিই সবচেয়ে বেশি উপকারী। শীতকাল হলেও তাই শরীরচর্চার অভ্যাস ধরে রাখুন। এতে স্বাস্থ্যের উপকার মিলবে।
ফ্যাটজাতীয় খাবার কম খাওয়া
ধরুন কোনো রান্নায় মাখন বা ঘি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই রান্না সুস্বাদু হবে। কিন্তু এতে ফ্যাটও রয়েছে যা লিভারের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই খেতে যতই ভালো লাগুক এমন খাবার কম খেতে হবে।
এসব নিয়ম মেনে চললেই শীতে লিভার সুস্থ রাখা যাবে সহজে।