ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে। ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০২ টাকা। নতুন এ সিদ্ধান্ত সোমবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
জানা গেছে, এবিবি ও বাফেদার নেতারা রোববার রাতে ডলারের দাম নির্ধারণে এক বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে রপ্তানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম বাড়ানো হলেও প্রবাসী আয় ও আমদানির দায় শোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার বাফেদা সব ব্যাংককে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বাফেদার চিঠিতে বলা হয়, এখন থেকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের জন্য প্রতি ডলারের দাম হবে ১০২ টাকা। আগে এ দাম ছিল ১০১ টাকা। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১ টাকা বেশি পাবেন। আর প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আগের মতো ১০৭ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ প্রবাসীরা বৈধ পথে বিদেশ থেকে যে ডলার পাঠাবেন, তার বিপরীতে প্রতি ডলারের জন্য ১০৭ টাকা করে পাবেন প্রবাসীর স্বজনরা। এছাড়া আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম হবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি। বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১০৭ টাকা আর রপ্তানি আয়ে এ দাম ১০২ টাকা। ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় দাঁড়ায় ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা।
এ গড়ের সঙ্গে ৫০ পয়সা যোগ করে ১০৫ টাকা হবে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চের পর থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও প্রকট হয়।
পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর দুই সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ শুরু করেন।