শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩

পাঁচ সিটিতেই ইভিএমে ভোট, কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা

পাঁচ সিটিতেই ইভিএমে ভোট, কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা

সবার আগে গাজীপুরের ভোটের তারিখ রেখে দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হবে ২৫ মে। এরপর ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটিতে এবং তারপর ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে ভোট হবে। সোমবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সভা শেষে কমিশনের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমানও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, এসব নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে এবং কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরাও থাকছে। ভোটের আপডেট তথ্য ট্যাবের মাধ্যমে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারা কমিশনকে জানাবে।

গত কিছুদিন সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট শুরু করা হলেও এই পাঁচ সিটিতে ভোট হবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।

গাজীপুর ভোট ২৫ মে: ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল; বাছাই ৩০ এপ্রিল; প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। ভোট ২৫ মে।

খুলনা ও বরিশাল ১২ জুন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে; বাছাই ১৮ মে; প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। ভোট ১২ জুন।

রাজশাহী ও সিলেট ২১ জুন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে; বাছাই ২৫ মে; প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন। ভোট ২১ জুন। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ থাকে সিটি করপোরেশনের। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়।  

এই পাঁচ সিটির মধ্যে সবার আগে গাজীপুরে ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয় ১১ মার্চ, ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেখানে। এ সিটেতে সর্বশেষ ভোট হয় ২০১৮ সালের ২৬ জুন। 

এছাড়া খুলনা সিটিতে ভোট হয় ২০১৮ সালের ১৫ মে। আর রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে সবশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই ভোট হয়।

এ বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা। তার আগেই সব সিটির ভোট সারা পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। 

সম্পাদক : এম এ মাতিন