নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ পরিহার করে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করে বিশ্বের সুনাম অর্জন করেন। আর বিশ্ব মানবতায় অবদান রাখার কারণে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত করে। বিশ্ব শান্তি পরিষদের এ পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।
বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বনানীতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বিবিএস ও নাহী গ্রুপের চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার (সিআইপি)।

ভোলা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বলেন, বিশ্ববরেণ্য যেসব ব্যক্তিত্ব 'জুলি ও কুরি' শান্তি পদক পেয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আমেরিকার মার্টিন লুথার কিং, কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রাে, মিশরের গামাল আবদেল নাসের, চিলির সালভাদর আলিঙ্গন, চিলির পাবলো নেরুদা, তুরস্কের নাজিম হিকমত, চেকোশ্লোভাকিয়ার জুলিয়াস ফুচিক, স্পেনের পাবলো পিকাসো, আমেরিকার পল রবসন,প্যলেস্টাইনের ইয়াসির আরাফাত, সোভিয়েত ইউনিয়নের লিওনিড ব্রেজনেভ, তাঞ্জানিয়ার জুলিয়াস নয়েরে প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই পদকে ভূষিত হয়ে সেই বিশ্ব বরেণ্যদেরই একজন হয়ে ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যারি কুরি ও পিয়েরে কুরি দম্পতি বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে যে অবদান রেখেছেন, তা স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে, শান্তির স্বপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে আসছে।
ডেস্ক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম



















