বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বিপুল ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নৌকা প্রতীকে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
অন্যদিকে, খুলনা সিটিতে তৃতীয়বারের মতো নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বরিশাল সিটির এবং রাত পৌনে ৯টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন খুলনা সিটি নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে, বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। দিন শেষে বরিশাল সিটির ১২৬ কেন্দ্রে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পান ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
তাদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৫৩ হাজার ৯৮০টি। এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সব কয়টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। তাদের দুজনের মধ্যে ভোট ব্যবধান ৯৪ হাজার ৭৪১টি।
এদিকে, বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে দিনভর ব্যাপক উত্তেজনা থাকলেও খুলনা সিটিতে বড় ধরেনর কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই এই সিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিপরীতে বরিশাল সিটি নির্বাচন সকাল থেকে দুপুর ১২টা অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে হলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখা যায়নি।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল সিটির চৌমাথা এলাকায় সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল করিম বলেন, ‘নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৭ নম্বর কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সেখানে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।’
এদিকে, বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমার যে পর্যবেক্ষণ তাতে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া খুলনা ও বরিশাল ভোট সার্বিকভাবে সুন্দরভাবে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। সার্বিকভাবে ভোট বেশ সুশৃঙ্খল ও আনন্দমুখর পরিবেশে হয়েছে।’
দুই সিটিতে কত শতাংশ ভোট পড়েছে জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘খুলনায় যতটুকু তথ্য পেয়েছি তাতে ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা চূড়ান্ত নয়, কম-বেশি হতে পারে। সঠিক তথ্য এখনই দিতে পারব না। আর বরিশালে আনুমানিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এরও কম-বেশি হতে পারে।