শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

রাজবাড়ীতে টমেটো চাষে দ্বিগুণ লাভের আশা

রাজবাড়ীতে টমেটো চাষে দ্বিগুণ লাভের আশা

চলতি বছর রাজবাড়ীতে উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় রাজবাড়ীর চাষিরা দিনদিন টমেটোর আবাদ বাড়াচ্ছেন। পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা রাজবাড়ী। এ জেলার মাটি অধিক উর্বর হওয়ায় প্রতিটি শাকসবজি ও ফসলের সর্বোচ্চ ফলন হয়। চলতি মৌসুমে টমেটোর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। রাজবাড়ী জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৭৯ হাজার ১৬৩ হেক্টর।

চলতি রবি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো আবাদ হয়েছে প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে। তবে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে পদ্মার চরাঞ্চলে গোয়লন্দে। 

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, এ বছর জেলা সদরে ২৬০, কালুখালীতে ৪৫, গোয়ালন্দে ৪৫০, পাংশায় ৫৫ ও বালিয়াকান্দিতে ৩৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ করেছেন কৃষকেরা।

গত বছর জেলার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছিল। হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ছিল সাড়ে ২৫ টন। যার মোট উৎপাদন ছিল ১৭ হাজার ১৫৭ টন। সেই হিসেবে চলতি মৌসুমে টমেটোর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার টন।

রাজবাড়ী জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের নয়নসুখ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার তীরে চরের জমিতে একরের পর একর জমিতে কৃষকেরা করেছেন বিউটি প্লাস, মিতালি, টিএম ১২২০’সহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটোর আবাদ। ক্ষেতের প্রতিটি গাছেই ঝুলছে কাঁচা-পাকা টমেটো। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন টমেটো সংগ্রহ ও ক্ষেত পরিচর্যায়।

কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি ১০০ শতাংশ জমিতে আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করেছি। প্রথমদিকে ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করেছি। এখন প্রতি কেজি ৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। ১০০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করতে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি, বিক্রি হবে প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো।


সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন