❏ তিন দশকে প্রথমবার অঞ্চলটিতে জাতিসংঘের উপস্থিতি
❏ জাতিগত নিধনের অভিযোগ আর্মেনীয় সরকারের
মানবিক সংকটের কারণে বিরোধপূর্ণ কারাবাখে পৌঁছেছে জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধি দল। আজারবাইজান জানিয়েছে, গত তিন দশকে প্রথমবার অঞ্চলটিতে জাতিসংঘের উপস্থিতি। আজারবাইজান সরকারের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, রোববার সকালে জাতিসংঘ মিশন কারাবাখে পৌঁছেছে। যারা মানবিক সহায়তা দিতেই এসেছে।
নাগোর্নো-কারাবাখের সশস্ত্র আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে সামরিক অভিযান শুরু করে আজারবাইজান। রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ২৪ ঘণ্টার মাথায় অভিযান বন্ধ করে তারা। চুক্তি অনুযায়ী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয়। এরপর থেকে অঞ্চলটির জাতিগত আর্মেনীয়রা পালিয়ে আর্মেনিয়ার মূল ভূখ্লে ঢুকছে।
এই ঘটনায় আজারি বাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগ তুলেছে আর্মেনীয় সরকার। কিন্তু আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের কূটনৈতিক উপদেষ্টা হিকমেত হাজিয়েভ শনিবার এএফপিকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা জাতিগত নির্মূল বা গণহত্যার অভিযোগ মেনে নিতে পারি না। জাতিগত নিমূল হচ্ছে, কোনও জাতির বিরুদ্ধে জোর করে কিছু করা। কোনও বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করা। যে কাজটি ৩০ বছর আগে আর্মেনিয়া করেছিল।’
তিনি দাবি করেন, ‘তার মানে এই নয় আমরাও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবো। এখন পর্যন্ত কোনও সহিংসতা বা বেসামরিকদের বিরুদ্ধে একটা হামলাও হয়নি। কোনও আর্মেনীয় নিহত হননি।’
তারপরও আজারি বাহিনীর আতঙ্কে উৎকণ্ঠা নিয়ে বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ ছেড়ে পালাচ্ছে জাতিগত আর্মেনিয়ানরা। গত কয়েকদিনে নারী ও শিশুসহ আর্মেনিয়ার মূল ভূখ্লে প্রবেশের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখের বেশি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্মেনীয় সরকার। নাগোর্নো-কারাবাখের স্ব-ঘোষিত নেতা আশঙ্কা করছেন, আগামী বছরে এখানকার আর্মেনীয়দের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। সূত্র: টিআরটি