পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। তবে, ২৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ঈদ পরবর্তী ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ, ২৬ মার্চ থেকে চলছে। যারা ৫ এপ্রিল ফিরতি যাত্রায় ট্রেনে চলাচল করতে চান, তাদের আজই টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
এদিন সকালে (বুধবার) সকাল ৮টায় তৃতীয় দিনের মতো ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, টিকিট বিক্রির শতভাগই অনলাইনে হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া, ৯ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়টি ঘোষণা করেছিলেন।
গত কয়েক বছরে ঈদে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালালেও, এবার বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলো হলো— চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে: চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে: দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪, ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে: শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে: শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ ও
জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে: পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০।
ঈদের সময় যাত্রীদের অতিরিক্ত চাহিদা পূরণের জন্য রেলওয়ে ৪৪টি যাত্রীবাহী কোচ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে, পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ এবং সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ কোচ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একইভাবে, অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে ১৯টি লোকোমোটিভ (১৪টি মিটারগেজ ও ৫টি ব্রডগেজ) ব্যবহার করা হবে।
ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি (ডে-অফ) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। তবে ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।