শেরপুর: শেরপুর সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তর গত ১৫ বছরে প্রায় ১ হাজার ৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছে বলে অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নকলা বাইপাস সড়কের বাঁধ প্রসস্থ ও উচুকরণ পেভমেন্ট মজবুতিকরণ বাবদ প্রায় ৪৮ কোটি টাকার কাজ সমাপ্ত হয়েছে। শেরপুর কানাশাখোলা-অষ্টমীতলা জেলা মহাসড়কে ভূমি অধিগ্রহণ ও রাস্তা প্রশস্ত করণ কাজে ৫১ কোটি ব্যয়ে কাজটি সমাপ্ত হয়।
জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও সড়কে ভূমি অধিগ্রহণ সড়কে বাঁধ প্রশস্ত ও উচুকরণ পেভমেন্ট মজবুতিকরণ ও শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে ২টি কজওয়ের উপর ব্রীজ নির্মাণ বাবদ প্রায় ১০১ কোটি ব্যয় হয়। এর মধ্যে শেরপুর পৌর এলাকার অষ্টমীতলা থেকে খোয়ারপাড় পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করণ ও ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে।
শেরপুর-জামালপুর উত্তরবঙ্গের সড়ক জনজীবনে এনেছে স্বস্তি। প্রতি বছর বন্যার সময় ৩ মাস দুটি কজওয়ের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। যার ফলে শেরপুর-জামালপুর ও উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতো।
এখন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন হওয়ায় অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি মানুষের সামাজিক অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেছে। নাতিলাবাড়ী সীমান্ত সড়ক প্রশস্ত করণের ফলে নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে আন্তদেশীয় যোগাযোগ সহজ হয়েছে। যার ফলে অর্থনৈতিক দিক উন্নতি হয়েছে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল হক জানান, বিগত ১৫ বছরে শেরপুর জেলায় ১২টি আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রশস্তকরণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
জনপথ বিভাগের নিজস্ব অর্থায়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, আমরা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জেলায় রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। জেলায় এখান আর কাচা রাস্তা নেই বললেই চলে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমাগীতে ক্ষমতায় আসতে পারলে জেলার বাকী কাজগুলো সমাপ্ত করবো।