একের পর এক তিনটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে। এরই মধ্যে তেজ, হামুন ও মিধিলির তাণ্ডব দেখেছে উপকূলবাসী। এবার আসতে পারে মিগজাউম। যা এ বছরের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়া ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ও ভারতীয় উপ মহাদেশের উপর সাব-ট্রপিকাল জেট স্ট্রিমের অবস্থানের প্রভাবে লঘুচাপটি ২৮ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ২৯ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই গভীর নিম্নচাপটি ডিসেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ডিসেম্বরের ১ থেকে ২ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকার জেলাগুলো ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোন এলাকার উপরে দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের আকাশের উপরে মেঘ প্রায় পুরোপুরি অনুপস্থিত। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মেঘ মুক্ত আকাশ বিরাজ করলে তা ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছিস্থানে বায়ুর উচ্চচাপ ও বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে বায়ুর নিম্নচাপ অবস্থা নির্দেশ করে। শুক্রবার সকাল ৯ টার সময় ঢাকা বিমানবন্দরে বায়ুচাপ পরিমাণ করা হয়েছে ১০১৬ মিলিবার। ভারতের বিহার রাজ্যের পুনে শহরের উপরে বায়ুচাপ ছিলও ১০১৪ মিলিবার। বায়ু চাপের এই মান নির্দেশ করছে যে ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপরে উচ্চ বায়ুচাপের উপস্থিতি রয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, স্বাভাবিক অবস্থায় ভূমির কাছাকাছি স্থানে বায়ুর নিম্নচাপ ও উপরের দিকে বায়ুর উদ্ধচাপ অবস্থা বিরাজ করে। বায়ু সাধারণত উচ্চচাপ অবস্থা থেকে নিম্নচাপ অবস্থায় গমন করে। ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছিস্থানে বায়ুর উচ্চচাপ অবস্থা বিরাজ করলে সেইস্থানে মেঘের সৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হয়। শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কোন জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা দেখা নেই।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল থেকে প্রাপ্ত আবহাওয়া পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শুক্রবার দুপুর ২ টার পর থেকে শনিবার দুপুর ২ টার মধ্যে বাংলাদেশের অন্য কোন জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা নেই।