এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে এবারও এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাড়ে তের লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯২ জন, তাদের মধ্যে পাস করেছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৩ জন।
আর ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৩ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছেন ৫ লাখ ২৮ হাজার ৯১৯ জন। প্রকাশ হওয়া ফলে ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ; আর ছাত্রদের মধ্যে পাস করেছে ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। চলতি বছর ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন; আর ছাত্রদের মধ্যে ৪৩ হাজার ২৩০ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে। অর্থাৎ ছাত্রদের চেয়ে ৬ হাজার ১৩৫ জন বেশি ছাত্রী পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পেয়েছেন এবার। রোববার সকালে ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় মেয়েদের পাসের হার বেশি হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রীদের পাসের হার যেন বেশি। এটার জন্য ধন্যবাদ। কারণ সবসময় আমাদের শুনতে হয় জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি, এখন তো উল্টোদিকে…।
এছাড়া ছেলেদের পিছিয়ে থাকার কারণ খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, প্রতিবারই দেখি মেয়েদের পাসের হার বেড়ে যাচ্ছে। একসময় তো মেয়েদের পড়াশোনাই করতে দিত না। আরও অনেকে দেশে এখন পড়াশোনা করতে দেয় না। আমাদের দেশের মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকল,সেটাই খুঁজে বের করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দুপুরে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই কমেছে।
২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯৫ হাজার ৭২১ জন। আর ৮০ হাজার ৫৬১ জন ছাত্র জিপিএ-৫ ছাত্র পায় । অর্থাৎ ছাত্রদের চেয়ে ১৫ হাজার ১৬০ জন বেশি ছাত্রী পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পেয়েছিল। এর আগের বছর ২০২১ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১ লাখ ২ হাজার ৪০৬ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছিল, যেখানে ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮৬ হাজার ৮৬৩ জন। সেবারও সাড়ে পনের হাজার বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পায়।
এদিকে এ বছর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পাশের হার ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পাশের হার ছিল ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সেই হিসাবে আলিম পাশে হার প্রায় এক দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে। রোববার বেলা ১১টায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, এ বছর মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ১৩৯ পরীক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে পাশ করেছে ৮৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।