বিশ্ববাজারে আরও কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেল ৭৪ ডলার ৯২ সেন্টে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৮১ ডলার ৮১ সেন্টে। দুই সপ্তাহ আগে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৯০ ডলারের বেশি ছিল। ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ছিল ৮৫ ডলারের বেশি। বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সুখবর।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, মন্দার আশঙ্কার মধ্যে এই সুখবর এসেছে। যে জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য বিশ্ব অর্থনীতিতে ওলোটপালট করে দিচ্ছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে সেই তেলের বড় দরপতন হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা কমে নেমে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেল ৭৫ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম নেমে এসেছে ৮১ ডলারে। এই দর চলতি ২০২২ সালের মধ্যে সবচেয়ে কম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেল ৭৪ ডলার ৯২ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৮১ ডলার ৮১ সেন্টে। দুই সপ্তাহ আগে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৯০ ডলারের বেশি ছিল। ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ছিল ৮৫ ডলারের বেশি।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৭৫ ডলার ৬০ ডলার। আর চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৮০ ডলার ৯৬ সেন্ট। বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ চীনে কোভিড-১৯-এর কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভের কারণে সোমবার তেলের দাম এই বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। চীনে জ্বালানির চাহিদা কমে যেতে পারে এই অশঙ্কায় তেলের দাম কমছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মূলত বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কায় জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের বিভিন্ন শহরে এখনো লকডাউন চলছে। কোথাও কোথাও লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু সরকার অনড়। সে কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থিমিত হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা বলছে চীনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবার বেশ খানিকটা কমবে। অন্যদিকে আমেরিকান মুদ্রা ডলার দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে।