বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাবাজার পত্রিকা.কম বরিশালে চলন্ত বাসে আগুন, রক্ষা পেলেন ৩০ যাত্রী বাংলাবাজার পত্রিকা.কম বিপিএলে পুরনো তিন ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশগ্রহণ নিশ্চিত! বাংলাবাজার পত্রিকা.কম সরকার ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথায় বেশি গুরুত্ব দেয় : বিকেএমইএ সভাপতি বাংলাবাজার পত্রিকা.কম শিক্ষার্থীদের মারধরের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি ড্যাফোডিলের উপাচার্যের বাংলাবাজার পত্রিকা.কম জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়ালে হিতে বিপরীত হবে : নাহিদ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়ায় যা আছে বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৪ জনের, হাসপাতালে সহস্রাধিক ভর্তি বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ঐকমত্য কমিশন অনৈক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা গ্রহণ করেছে: সালাহউদ্দিন বাংলাবাজার পত্রিকা.কম জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের বাংলাবাজার পত্রিকা.কম শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা

৮ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় ৭ জেলা

৮ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় ৭ জেলা

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা। সেদিন ওই সব স্থানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মৌলভীবাজার: ৮ ডিসেম্বর। একাত্তর সালের এই দিনে মৌলভীবাজার পুরোপুরি হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ হামলা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ৫ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়তে শুরু করে। পাকিস্তানি সেনারা তখন সিলেটের দিকে পালাতে শুরু করে। পালানোর সময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেক নিরীহ মানুষ শহীদ হন। সিলেটে যাওয়ার পথে পাকিস্তানি বাহিনী শেরপুরে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও তাদের বিতাড়িত করা হয়। এতে ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পুরোপুরি হানাদার মুক্ত হয় এবং আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। 

চাঁদপুর: ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিল চাঁদপুর জেলা। লাকসাম ও মুদাফ্ফরগঞ্জ মুক্ত হওয়ার পর তৎকালীন চাঁদপুর মহকুমা জেলায় সর্বশেষ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। মিত্রবাহিনী এবং মুক্তিযোদ্ধারা সড়কপথে হাজীগঞ্জ দিয়ে ৬ ডিসেম্বর চাঁদপুর আসতে থাকলে হানাদার বাহিনী প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চল আখাউড়া মুক্ত করার পর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হয়। আখাউড়া থেকে রেললাইন ও উজানী শহর অতিক্রম করে কোনো ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই যৌথবাহিনী পৌঁছে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে। পরে ৮ ডিসেম্বর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

কুমিল্লা: ১৯৭১ সালের এদিনে কুমিল্লা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাহুর গ্রাস থেকে মুক্ত হয়। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ আর নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীসহ সর্বস্তরের জনগণের উল্লাস ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে কমিল্লা। মুক্ত হয় কুমিল্লা।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে তিনদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী কুমিল্লা বিমানবন্দরে পাকিস্তানি বাহিনীর ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করে। 

বরিশাল: ৮ ডিসেম্বর বরিশাল মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষদিকে ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় বরিশাল অঞ্চল। এদিন বরিশালকে হানাদারমুক্ত করে বিজয়ের পতাকা উড়ান অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা।

পটুয়াখালী: একাত্তরের ২৬ এপ্রিল, পটুয়াখালীর কালিকাপুর এলাকায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে হানাদার বাহিনী হত্যা করে ১৮ জনকে। একই দিন গলাচিপার পানপট্টি এলাকায় হামলা চালিয়ে হানাদার বাহিনী নির্বিচারে হত্যা করে ৫০ থেকে ৬০ জন মুক্তিকামী মানুষকে।

মাদারীপুর: ১৯৭১ সালে এই দিনে সম্মুখযুদ্ধে হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে মাদারীপুরকে স্বাধীন করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ