রাজধানী ঢাকা দেশের সবচেয়ে বড় মহানগরী। এখানে কোটিরও বেশি মানুষের বাস। অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালসহ রয়েছে হাজারো প্রতিষ্ঠান। কর্মব্যস্ত এই মহানগরীতে উন্নয়নের জোয়ার বইলেও এর ছোয়া বঞ্চিত রয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সায়েন্সল্যাব চৌরাস্তা থেকে শাহবাগ চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কটি। ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে খানাখন্দে ভরা এই সড়কটি যেন বাতির নিচে অন্ধকার।
সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র, এমপি, মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চলাচলের পথ হলেও অজ্ঞাত কারণেই ঠিক হয়না এই সড়ক। এরফলে রিকসা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা উল্টো প্রতিনিয়ত ছোটখানো দুর্ঘটনা ঘটছে। ক্ষতি হচ্ছে অন্যান্য যানবাহনেরও। এছাড়া খানাখন্দের ফলে কমেছে যানবাহনের গতি, বাড়ছে যানজট। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে কোনো মাথাব্যথা নেই।
একই অবস্থা মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডেও দেখা গেছে। খানা-খন্দের ফলে সড়কটি দিয়ে যান চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচলও। সড়কটির একপাশে কেটে কাজ শেষ করে বালু ও ইটের সুরকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের।
মতিউর নামের এলাকার একজন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী বলেন, নানা কারণেই বছরের বেশিরভাগ সময় সড়টির বিভিন্ন অংশ খোড়া হয়। পরে আবারও ইট-সুরকি দিয়ে ভরাট করা হলেও তা থাকেনা। সৃষ্টি হয় গর্তের। এজন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে, রাজধানীতে দুই হাজার ২৮৯ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণের আওতায় রয়েছে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার ও উত্তরের আওতায় রয়েছে এক হাজার ৩০ কিলোমিটার সড়ক।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় কিছু রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে গেছে। তবে তা মেরামতের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলেই দ্রুত সংস্কার করা হয়ে থাকে।
একই সুরে কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শরিফ উদ্দীন। তিনিও বলেন, বৃষ্টিতে কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা দ্রুত মেরামত করার জন্য চেষ্টা চলছে। যদিও এসব মেরামত কাজ চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে।