সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পিএসও ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হোক। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে জানাবেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করবো।
তিনি জানান, ২৯ শে ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি ১৩ দিন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন চায় ইসি। সশস্ত্র বাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে কিনা সে বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও তিনি বলেন, আগের নির্বাচনগুলোর মতোই এই বাহিনী নির্বাচনে থাকবে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিলো। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা হবে। অবশ্যই সব সময় প্রস্তুতি আছে। গতবার ৩৮৮ উপজেলায় ছিলো।
তিনি জানান, এবারও সশস্ত্র বাহিনী ‘এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ বিধানের অধীনে থাকবে। সেনাবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার) থাকবে কিনা তা নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার আরও বলেন, তারা (ইসি) চাচ্ছে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু ও ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন হোক। এ ব্যাপারে আমাদের সামান্য সন্দেহ নেই। তারা অত্যন্ত সিরিয়াস। আমরা সশস্ত্র বাহিনী যদি ডেপ্লয় হই, আমার অবশ্যই সাহায্য-সহায়তা করব।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, কত সংখ্যক সেনা মোতায়েন হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
ইসি সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে সাড়ে সাত লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবেন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, পুলিশ ও র্যাব মিলিয়ে এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, দুই হাজার ৩৫০ জন কোস্টগার্ড ও ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।