মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রায় ১৯০ বাংলাদেশি শ্রমিক তাদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি তাদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
কর্মীদের অভিযোগ, সেফটি ইনচার্জ তাদের অজ্ঞাত চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর সময় হুমকি ও অপমান করেছে। ভিসা জটিলতা, চিকিৎসার অবহেলা ও আর্থিক প্রতারণাও চলমান সমস্যা। ২৪ জুনের বৈঠকে এই সমস্যাগুলো তোলা হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
প্রবাসীরা জানাচ্ছেন, গত ১৪ মে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়া সফরের সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠকের পর থেকেই ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
কর্মীদের দাবি, চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে তাদের ভিসা পাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এখনও ৯০ জনের বেশি কর্মী ভিসা পাননি। অসুস্থ এক কর্মীকে মেডিক্যাল পরীক্ষায় ‘ফিট’ সনদ থাকার পরও দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর এর কোনো ক্ষতিপূরণ বা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি।
রিক্রুটমেন্ট ফি ২৮ হাজার রিঙ্গিত হওয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ তা কমিয়ে ১৮ হাজার রিঙ্গিত আদায় করেছে, যা প্রবাসীরা প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক বৈঠকে তাদের প্রতিনিধিদের ওপর হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র তারা কর্মীদের পক্ষ থেকে কথা বলায়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনে মেইল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রবাসীরা দ্রুত ও সম্মানজনক সমাধান না হলে আইনি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিষয়টি তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কর্মীরা দাবি করেছেন—চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, ভিসা জটিলতা দূরীকরণ, পূর্ণ রিক্রুটমেন্ট ফি প্রদান, নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মানবিক হোস্টেল বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।