বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

হঠাৎ জ্বর? সেরে উঠতে যা করবেন

হঠাৎ জ্বর? সেরে উঠতে যা করবেন

হঠাৎ জ্বর আসা অপরিচিত কোনো সমস্যা নয়। অনেক রোগের কারণে জ্বর হতে পারে। অটোইমিউন সমস্যা, প্রদাহ বা ক্যান্সার আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু সংক্রমণ হলো সবচেয়ে সাধারণ কারণ যার জন্য জ্বর হতে পারে।

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণু নির্দিষ্ট শরীরের তাপমাত্রায় বাস করে এবং যখন তারা সংক্রমণ ঘটায়, তখন শরীর তাদের ধ্বংস করার জন্য তার তাপমাত্রা বাড়ায়। জ্বর হলো এই আক্রমণকারীদের হত্যা করার জন্য শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টার কারণেই জ্বর দেখা দেয়। যার ফলে আপনি দুর্বল, ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং সাধারণত অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, বেশিরভাগ জ্বর সৃষ্টিকারী সংক্রমণ চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়। সুস্থ হওয়ার জন্য বাড়িতে নিজের কিছু যত্ন প্রয়োজন হতে পারে।

১. প্রচুর বিশ্রাম নিন

অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে দূরে থাকা স্বাভাবিক। এসয় শরীরকে বিশ্রাম এবং আরাম দেওয়া জরুরি। এতে জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া এবং দ্রুত সুস্থ বোধ করা সহজ হবে। জ্বর নিয়ে কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন না। বরং এসময় নিজেকে বিশ্রাম দিন। খানিকটা শুয়ে বসে, গরম স্যুপ খেয়ে আরাম করার চেষ্টা করুন।

২. বেশি বেশি তরল পান করুন

জ্বরের কারণে ঘাম, বমি বা ডায়রিয়া হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসময় প্রচুর পানি, মধু, তাজা ফলের জুস বা ঝোল সহ ডিক্যাফিনেটেড চা পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মুরগি এবং গরুর মাংসের ঝোল লবণ এবং প্রোটিনযুক্ত থাকে, যা ইলেক্ট্রোলাইট এবং পুষ্টির সঙ্গে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

৩. হালকা গরম পানিতে গোসল করুন

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঠান্ডা বোধ করতে পারেন। এসময় হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। জ্বরের কারণে আপনার গোসল করতে ইচ্ছা না-ও করতে পারে, তবে এসময় হালকা গরম পানিতে গোসল আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

৪. ঢিলেঢালা পোশাক পরুন

জ্বরের কারণে শরীরে ঠান্ডা লাগলে ভারী কম্বলের নিচে স্তরে স্তরে পোশাক পরে শুয়ে থাকা স্বাভাবিক মনে হতে পারে, তবে এটি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং অতিরিক্ত গরমের কারণ হতে পারে। জ্বর হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরে যতটা সম্ভব শরীরকে উন্মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। এসময় ভারী কম্বল এড়িয়ে চলুন।

৫. খাবার এবং ভেষজ

জ্বরের কারণে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে শরীরকে লড়াই করার শক্তি জোগানোর জন্য খাবার খাওয়া জরুরি। এসময় খেতে কষ্ট হলেও খাবারের দিকে মনোযোগী হতে হবে। তাজা ফলমূল, শাক-সবজি, প্রচুর তরল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখুন ভেষজ উপাদানও। আদা ও রসুন এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। আদা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অপরদিকে রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল উপকারিতা রয়েছে।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ