শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে কী খাবেন?

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে কী খাবেন?

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হলে বেড়ে যায় রক্তাল্পতার ঝুঁকি। পুরুষের তুলনায় নারীর এ সমস্যা বেশি হয়। শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর দুর্বল হয়ে যায়। দেখা দেয় নানা সমস্যা। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে তার চাপ পড়ে চেহারায়। বাড়তে থাকে ক্লান্তি, দুর্বলতা, ঝিমুনি। সেসঙ্গে বাড়ে মানসিক অবসাদ ও চুল পড়ার সমস্যা। চোখ-মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

রক্তাল্পতার সমস্যা বেড়ে গেলে চিকিৎসক আয়রনের ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে ওষুধ ছাড়াও রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানো যায়। কিছু খাবার রয়েছে যা দেহের আয়রনের ঘাটতি মেটায়। চলুন জেনে নিই খাবারগুলো সম্পর্কে-

শাক
খাদ্যতালিকায় রাখুন বিভিন্নরকম শাক। লাল শাক, পালংশাকের অতো শাকগুলোতে পর্যাপ্ত আয়রন থাকে। আরও থাকে ফোলেট, ভিটামিন সি এর উপকারি সব উপাদান। এসব উপাদান রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শাক খেলে আয়রনের ঘাটতিসহ একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।

বিটরুট
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে বিটরুট। এমনকী উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এটি। বিট লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে এবং পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে সাহায্য করে। টানা এক মাস বিটরুটের জুস খেলেই পরিবর্তন চোখে পড়বে।

বেদানা
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে রোজ একবাটি বেদানা খেতে পারেন। এই ফলে আছে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন সি-ও। বেদানার রস খাওয়ার মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে পারবেন।

বিভিন্ন ধরনের ডাল
রোজকার পাতে বিভিন্নরকম ডাল রাখতে পারেন। ডালে আছে আয়রন ও বায়োঅ্যাক্টিভ, যা দেহে হিমোগ্লোবিন ও আয়নের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। রাজমা, ছোলা, চানার মতো ডাল বেশি করে খেতে পারেন। আয়রন ছাড়াও ডালের মধ্যে প্রোটিন, ফাইবারের মতো উপাদানও পাওয়া যায়।

বাদাম ও বীজ
কাঠবাদাম, কুমড়োর বীজ, কাজু, তিলের বীজের মতো খাবারে আয়রন, কপার এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। আগের রাতে কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেটি খান। এছাড়া দই বা সালাদের সঙ্গে বীজ ছড়িয়ে খেতে পারেন। এতেও আয়রনের ঘাটতি মেটাতে পারবেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা বজায় থাকবে বাদাম খেলে।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ