আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হলে সেই ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে আইসিটি আইন সংশোধন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। মেয়র ও চেয়ারম্যানসহ সরকারি কোনো কার্যালয়েও নিয়োগ পেতে পারবেন না। এই সংশোধনটা করা হয়েছে, এটা একটা নতুন সংযোজন।
তিনি বলেন, আপনারা হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন পরিবর্তনটা আবার কেন করা হলো? আমরা যেটা মনে করি যে, একটা রাষ্ট্র বিপ্লবোত্তর পরিবেশে যখন একটা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, তখন রাষ্ট্র বা দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনে সরকার এই আইন শুধু নয়; বিভিন্ন আইনেরই সংশোধনী আনছেন রাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে তোলার জন্য। এরই অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে। এখন থেকে সে আইনটা সেভাবে প্রয়োগযোগ্য হবে।
বিচার চলাকালীন আইন সংশোধন হওয়ার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এমন কোনো সুযোগ নেই। কারণ, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া চলমান। যদি একজন ব্যক্তির বিচার চলমান থাকা অবস্থায় বিচারকে প্রভাবিত করতে পারে, এমন কিছু সংশোধন হলে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
তিনি বলেন, এখানে যে আইনটা সংশোধন করা হয়েছে, সেটি এখনও প্রয়োগযোগ্য হয়নি। তাই প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই। ন্যায়বিচারের পরিপন্থিও হবে না। কারণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি সংবিধান দ্বারা প্রোটেক্টেট একটি আইন। সুতরাং এটা সবকিছুই বৈধ বলে গণ্য হবে। আদালতে চ্যালেঞ্জও করা যাবে না।