ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভেঙে ত্রাণ পৌঁছাতে গিয়ে আটক হয়েছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ৯ জাহাজ। ‘থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস’ নামে সাম্প্রতিক এ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমসহ দেড় শতাধিক অধিকারকর্মী। আটকের পর তাদের কারাগারে বন্দি করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলের বন্দিশালা থেকে শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে তুরস্কের সহায়তায়। তুর্কি কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে, আজ শুক্রবারই (১০ অক্টোবর) বিশেষ বিমানে করে তাকে আঙ্কারায় নেওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে তারা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, শহিদুল আলম ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অবৈধভাবে আটক হবার পর জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে ওইসব দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে মুক্ত করার ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়। দূতাবাসগুল শহিদুল আলমের মুক্তির বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।