জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন, যাকে ‘সপ্তাহের ঈদ’ বলা হয়। এই দিনের ইবাদত যেন সর্বোত্তমভাবে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে ইসলাম কিছু সুন্দর ও শিষ্টাচারভিত্তিক নির্দেশনা দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো- সুগন্ধি ব্যবহার।
নবীজি (স.)-এর সরাসরি নির্দেশনা
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘জুমার দিন তোমরা মিসওয়াক করবে এবং যার সুগন্ধি আছে, সে তা ব্যবহার করবে।’ (সহিহ বুখারি: ৮৮০)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুমার দিনে সুগন্ধি ব্যবহার শুধু পরিচ্ছন্নতার অংশ নয়, বরং ইবাদতের প্রস্তুতির একটি অনন্য উপায়ও বটে।
মসজিদের পরিবেশকেও সুবাসিত করার নির্দেশ
দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) জুমার দিনে জোহরের আগে মসজিদে সুগন্ধি ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন। এছাড়াও রাসুলুল্লাহ (স.) মসজিদ পরিষ্কার রাখা এবং সুবাসিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ‘তোমরা তোমাদের মসজিদগুলো পরিষ্কার রাখো এবং তা সুগন্ধি দাও।’ (ইবনে মাজাহ: ৭৫৯)
সুগন্ধি ব্যবহারের তাৎপর্য
জুমার দিনে সুগন্ধি ব্যবহারের রয়েছে বহুমাত্রিক তাৎপর্য। যেমন:
ইবাদতের প্রস্তুতি: নামাজের আগে সুগন্ধি ব্যবহার মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে।
পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য: সুগন্ধি ব্যবহারে একজন মুসলিম পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল জীবনধারার পরিচয় দেন।
সম্মান প্রদর্শন: জুমার দিনের মর্যাদা রক্ষা ও সম্মান জানাতে সুগন্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
ইবাদতের পরিবেশে সৌহার্দ্য: মসজিদে সবাই যখন সুগন্ধি ব্যবহার করে আসেন, তখন তা ইবাদতের পরিবেশকে আরও মনোরম করে তোলে।
জুমার দিনে সুগন্ধি ব্যবহার ইসলামের সৌন্দর্যময় সংস্কৃতির একটি উজ্জ্বল দিক। এটি যেমন ইবাদতের মর্যাদা বাড়ায়, তেমনি মুসলিম সমাজে পরিচ্ছন্নতা, রুচিবোধ ও সৌহার্দ্য তৈরি করে। তাই ব্যক্তি জীবনে এই সুন্নত অনুসরণ ও তা সমাজে প্রসারে আমাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত।