চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বড় ধরনের বিজয় অর্জন করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট'। ভিপি ও জিএসসহ মোট ২৬টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২৪টি পদেই জয় পেয়েছেন এ প্যানেলের প্রার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মো. ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন।
প্যানেলটির বাইরে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক এবং সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি জয় লাভ করেছেন।
গতকাল (বুধবার) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা করা হয় ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে এবং ১৪টি এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন জানান, হাতে ব্যবহৃত অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার মতো কিছু বিচ্ছিন্ন অভিযোগ থাকলেও, সার্বিকভাবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
ভিপি (সহসভাপতি) পদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে একই প্যানেলের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট, আর ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) এই পদে ছাত্রদলের প্রার্থী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির–সমর্থিত সাজ্জাত হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।
চাকসু নির্বাচনে এবার মোট ২৭ হাজার ৫১৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ৭১৭ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটগ্রহণের হার ছিল ৬৫ শতাংশ।