ওজন কমানোর মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। কঠিন ডায়েট, নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরই শরীরের মেদ ঝরে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয় পেটের মেদ কমাতে। বিশেষ করে যারা রোজ দিনের একটা বড় সময় বসে কাজ করেন তাদের জন্য পেটের চর্বি কমানো কঠিন। তবে এই কাজে আপনার সাহায্যকারী বন্ধু হতে পারে পরিচিত এক বীজ। বলছিলাম রান্নাঘরে থাকা মেথির কথা।
মাছ ভাজতে অনেকে মেথি ব্যবহার করেন। কেউবা রূপচর্চায়ও এটি ব্যবহার করে থাকেন। স্বাস্থ্যের জন্যও এটি বেশ উপকারি। আমেরিকান স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেথি বীজ পেটে চিনির শোষণকে ধীর করে দেয় এবং ইনসুলিনকে উদ্দীপিত করে। এই দুটি প্রভাব ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এই মসলাটি টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রাও উন্নত করতে পারে, যার ফলে যৌন জীবন উন্নত হয়।
মেথি বীজ কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে?
মেথিতে থাকা উচ্চ ফাইবার উপাদান ও গ্যালাক্টোম্যানান, একটি জলে দ্রবণীয় ফাইবার, বিপাক বৃদ্ধি করতে পারে। দ্রুত চর্বি গলাতে সাহায্য করে এটি। এই বীজে থাকে ফাইবার, যা পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি হলে ঘন ঘন অতিরিক্ত খাওয়া থেকে দূরে থাকা যায়।
মেথি বীজের উপকারিতা
মেথি বীজ স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এটি খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে। পিরিয়ডের সময় মেথি বীজের গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে খেলে মাসিকের ব্যথা থেকে মুক্তি মেলে। এই বীজের নির্যাস খেলে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা ও আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
মেথিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে। বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মেথি চুলের বৃদ্ধি করতে, চুলের গোড়া শক্তিশালী করতে, খুশকি প্রতিরোধ করতে এবং মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, পিরিয়ডের ব্যথা এবং যৌন-সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানে এই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ওজন কমানোর জন্য কীভাবে মেথি খাবেন?
মেথি পানি: এক টেবিল চামচ মেথি বীজ সারারাত এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে ছেঁকে নেওয়া পানি পান করুন।
মেথি চা: এক চা চামচ মেথি বীজ কয়েক মিনিটের জন্য পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিন এবং খালি পেটে পান করুন।
মেথি গুঁড়ো: ভাজা মেথি বীজ থেকে গুঁড়ো তৈরি করুন এবং সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন এক চা চামচ গুঁড়ো সবজি, মসুর ডাল, স্যুপ বা সালাদে যোগ করুন।
তবে কেবল মেথি খেলেই হবে। তারসঙ্গে স্বাস্থ্যকর ডায়েট আর নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবেই কমবে ওজন, থাকবেন ফিট।
ডেস্ক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম
























