মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ভূমিকম্পের মাত্রা ছাড়াতে পারে ৮-এর বেশি, এরপর আফটার শক!

ভূমিকম্পের মাত্রা ছাড়াতে পারে ৮-এর বেশি, এরপর আফটার শক!

ভূমিকম্পের আতঙ্কে এখন ঢাকাসহ গোটা দেশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর)  রাতে আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে কম্পন অনুভূত হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দল জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল মিয়ানমার। 

এ নিয়ে পর পর কয়েক দফা ভূমিকম্প ঢাকা ও আশপাশেই ঘটেছে। নরসিংদীর মাধবদী থেকে এবং পরবর্তী কম্পনগুলো বাইপাইল, নরসিংদী ও ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে এসেছে। এবার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল মিয়ানমার হলেও দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে এ কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্প এখন শুধুমাত্র ভারত বা মিয়ানমার থেকে আসছে না, বরং বাংলাদেশেই এর উৎপত্তি হচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৭৬টি ভূমিকম্প ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা ২১ নভেম্বরের নরসিংদীতে ভূমিকম্পকে ইন্ট্রাপ্লেট ইভেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।


বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৭৬টি ভূমিকম্প ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা ২১ নভেম্বরের নরসিংদীতে ভূমিকম্পকে ইন্ট্রাপ্লেট ইভেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

এ নিয়ে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এ কে এম শাকিল নেওয়াজ জানিয়েছিলেন, মেইন শকের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ বা তার বেশি হতে পারে। এরপরই থাকবে আফটার শক। তিনি আরও বলেছিলেন, তখনকার পরিস্থিতি হবে আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।


এদিকে জিপিএস পরিমাপ দেখাচ্ছে, দেশের ফল্টগুলো প্রতি বছর কয়েক মিলিমিটার সরতে থাকে, যা ভবিষ্যতে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করছে। বিশেষত সিলেট, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ (দৌকি ফল্ট), ঢাকা ও টাঙ্গাইল (মধুপুর ফল্ট), চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় এলাকা (চট্টগ্রাম–মিয়ানমার ফল্ট) ঝুঁকিপূর্ণ।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ এবং জনসচেতনতা তৈরি না হলে, বড় ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হবে। বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে পরিবহন খাত, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ