শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) মধ্য গাজার একটি হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন প্রচন্ড হামলার সময় এই মৃতদেহগুলো হাসপাতালে আনা হয়েছে।

শনিবার সকালে গাজার যে অংশ থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী চার জিম্মিকে উদ্ধার করেছে, সেখানে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে বলে অ্যাসোসিয়ে টেড প্রেসকে জানান কর্মকর্তা খলিল দেগ্রান। ওই কর্মকর্তা বলেন, শতাধিক আহত ব্যক্তিকে দেইর আল বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে জিম্মিদের মুক্ত করার পর ইসরায়েল বলেছে, ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত সবাইকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা হামলা চালাবে।

ইসরায়েল শনিবার জানিয়েছে, তারা ৭ অক্টোবর হামাস হামলার সময় অপহৃত চার জিম্মিকে উদ্ধার করেছে। এটি গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধ্য গাজার আশপাশে প্রচন্ড হামলায় শিশুসহ অন্তত ৫৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা নোয়া আরগামানিক (২৫), আলমোগ মেইর জেন( ২১), আন্দ্রে কোজলভ( ২৭) এবং ৪০ বছর বয়সী শ্লোমি জিভকে উদ্ধার করেছে। শনিবার সকালে নুসেইরাতের কেন্দ্রস্থলে একযোগে দুটি স্থানে দিনের বেলা একটি জটিল অভিযানের সময় ব্যাপক গোলাগুলি হয়।

উল্লেখ্য,  গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে প্রায় অর্ধেককে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এখনো প্রায় ১২০ জন জিম্মি রয়ে গেছে। যাদের মধ্যে ৪৩ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়ে ছে। জীবিতদের মধ্যে প্রায় ১৫ জন নারী, ৫ বছরের কম বয়সী দুটি শিশু এবং ৮০ বছর বয়সী দুই পুরুষ রয়েছেন।

ইসরায়েল জানিয়েছে, ঘটনার সময় প্রায় ৩০ জন হাসাস যোদ্ধা ভেতরে ছিল এবং শুক্রবার তারা নিহত ১৭ হামাস যোদ্ধার নাম প্রকাশ করেছে। তবে হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতদের রেকর্ডের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে মাত্র ৯টি নামের। হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, অভিযুক্ত হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে একটি আট বছরের শিশুও রয়েছে।


সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন