সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

দৈনিক নওরোজ সম্পাদক দুররানী কারাগারে

দৈনিক নওরোজ সম্পাদক দুররানী কারাগারে

২০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলায় দৈনিক নওরোজ সম্পাদক শামসুল হক দুররানীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন আবেদন করলে তা নাকচ করে দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মাহবুবুর রহমান।


গত ১২ নভেম্বর রাজিবুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদার শামসুল হক দুররানীকে আসামি করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শামসুল হক দুররানী। তার পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি নিয়ে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন খোরশেদ মিয়া আলম।


কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নওরোজ সম্পাদক সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা চাপাইনবাবগঞ্জের জেলা জজ হিসেবে থাকাকালে ১০ কেজি হেরোইন মামলায়, সাড়ে তিন কেজি হেরোইনের মামলায়, এমনকি বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারের মামলায় আসামিদের জামিন দেন। আমি তার বিরুদ্ধে নিউজ করি। নিউজ করার কারণে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বদলি করা হয়। এ কারণে লিয়াকত আলী এবং উপসচিব (প্রশাসন) গোলজার রহমান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’


তিনি বলেন, ‘বিচারকরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না, কিছু লেখা যাবে না।’


আইন সচিবই মামলা করিয়েছেন কীভাবে বুঝলেন প্রশ্নের জবাবে এ সম্পাদক বলেন, ‘এটা পুলিশ আমাকে বলেছে, তার নাম আমি বলবো না।’


মামলার অভিযোগে বাদী রাজিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, জামালপুরের মেলান্দহ থানার উপজেলা বীজ অফিসে তার ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩২ টাকার একটি কাজ চলমান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সাইটে অজ্ঞাত কিছু লোক কাজে ব্যাঘাত করার চেষ্টা করছে। গত ৭ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে একটি নম্বর থেকে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি রাত ৭টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখা করতে বলেন। জামালপুরে সাইটের কাজে যে ঝামেলা চলছে তা সমাধান করে দেবে বলে জানায়। রাজিবুল ইসলাম ৭টার দিকে ঢাকা থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে যান। সেখানে তাদের দেখা হয়। জামালপুরের সাইটের কাজ সঠিকভাবে করতে ২০ লাখ টাকা চান শামসুল হক দুররানী। টাকা না দিলে কাজ করতে পারবে না বলে হুমকি দেন। পরে সবার সঙ্গে আলাপ করে মামলা দায়ের করেন রাজিবুল ইসলাম।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ