শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিক হেনস্তা, দেশজুড়ে নিন্দা

সংবাদের লাইভ চলার সময় সাংবাদিকের মাইক্রোফোন কেড়ে নেন একজন পুলিশ সদস্য -ইন্টারনেট

জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এক পুলিশ সদস্যের হেনস্তার শিকার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাইদ আরমান। ১১ ডিসেম্বর লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন (বুম) কেড়ে নেন ওই পুলিশ সদস্য।

এ ঘটনার পর সারাদেশ নিন্দার ঝড় ওঠে। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা জানান।

এরপর বিবৃতি দিয়ে এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী সাইদ আরমান সাংবাদিকদের জানান, রোববার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান। এ উপলক্ষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সংসদের ভেতরে এবং বাইরে থেকে দফায় দফায় লাইভ করে। তিনিও লাইভ করেন।

বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পর তিনি সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় দুপুর ২টার সংবাদে লাইভ দেয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তার মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে ডিআরইউর নেতারা বলেন, সাইদ আরমান তার পেশাগত দায়িত্বরত ছিলেন। লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এটা ন্যক্কারজনক। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়।

ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রশাসনকে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তারা।

এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি হারুন অর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজা দৌলা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সাইদ আরমান পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। লাইভ চলাকালে যেভাবে তার কাছ থেকে বুম কেড়ে নিয়ে হেনস্তা করা হয়েছে, এটা ন্যক্কারজনক। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোড় দাবি জানাচ্ছি।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ