ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনা শুধু বিএনপি বা ছাত্রদলের নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী, আধিপত্যবাদবিরোধী প্রতিটি নাগরিকের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের মুহূর্ত। বিপ্লবী সিপাহী-জনতার দেশপ্রেমে সেদিন রক্ষা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ফলে ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল দিন।
নাছির উদ্দীন বলেন, ছাত্রদল ৭ নভেম্বর উপলক্ষে ক্যাম্পাসে পোস্টার লাগিয়েছে। এতে সংক্ষেপে ৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে। এটা কোনো ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণা বা দলীয় কর্মসূচির প্রচারণা ছিল না। জাতির একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের স্মরণে একটা ক্যাম্পেইন হয়েছে। ছাত্রদলের সঙ্গে আপনার মতবিরোধ থাকতে পারে, পোস্টারিংয়ের ধরন নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে। এটি একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কিন্তু বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের পোস্টার ছিঁড়ে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন সমীচীন কাজ নয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, পোস্টার ছেঁড়ার জন্য আপনি মব তৈরি করতে পারেন না।ছাত্রদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মব উসকে দিতে পারেন না। এভাবে পেশিশক্তি প্রদর্শন করে একটি পক্ষকে কোণঠাসা করা অগণতান্ত্রিক আচরণ, যা জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের পরিপন্থী। এ ধরনের কাজের ফলে জুলাই-আগস্টে গণতন্ত্রকামী সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে যে অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফাটল ধরবে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে পরাজিত অপশক্তি কোনো সুবিধা হাসিল করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার সব ছাত্রসংগঠনকে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্র চর্চার প্রাথমিক শর্ত। আমরা সবাইকে সহনশীলতা বজায় রাখার অনুরোধ করছি।