সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

‘মওলানা ভাসানী আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন’

‘মওলানা ভাসানী আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন’

অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (১৭ নভেম্বর) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, মওলানা ভাসানী অগাধ দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। তার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপ-মহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আপোসহীন ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মওলানা ভাসানী দেশমাতৃকার মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মওলানা ভাসানী ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। তার অবস্থান ছিল শোষণের বিরুদ্ধে এবং শোষিতের পক্ষে।

তারেক রহমান বলেন, অধিকার আদায়ে তিনি এদেশের মানুষকে সাহস যুগিয়েছেন তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের দ্বারা। তার হুংকারে অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর মসনদে কম্পন সৃষ্টি হতো। জাতির ভয়াবহ দুর্দিনগুলোতে তিনি জনস্বার্থের পক্ষে থাকতেন বলেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন।

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপির এই নেতা।


সূত্র: বাসস

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন