২০২৪ সালে রেকর্ড ৪ হাজার ৮১৩ প্রবাসী কর্মীর মরদেহ দেশে এসেছে। তবে, তাদের সবার মৃত্যুর সঠিক কারণ ও কোন দেশ থেকে কত জনের মরদেহ এসেছে তা জানা যায়নি।সম্প্রতি ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৫৬ হাজার ৭৬৯ প্রবাসীকর্মীর মরদেহ দেশে এসেছে। গত বছর ৪ হাজার ৮১৩ প্রবাসী কর্মীর মরদেহ দেশে এসেছে। তবে পরিসংখ্যানে কোন দেশ থেকে কতজনের মরদেহ এসেছে তা আলাদা করা হয়নি। ২০২৩ সালে ৪ হাজার ৫৫২ জনের, ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯০৪ জনের এবং ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯০৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসীর মরদেহ দেশে এসেছিল।প্রবাসীকর্মীদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা এবং কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দাফন ও পরিবহন খরচ হিসেবে প্রতি মরদেহের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দেয় ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড। সেই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিটি মৃত্যুর জন্য ৩ লাখ টাকা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত দেশে মোট ১৭ হাজার ৮৭১ মরদেহ এসেছে যার ৬৭ দশমিক ৪ শতাংশ এসেছে উপসাগরীয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন থেকে। এর মধ্যে সৌদি থেকে ৫ হাজার ৬৬৬ জন, আমিরাত থেকে ১ হাজার ৯১৩ জন ও ওমান থেকে ১ হাজার ৮৯৩ মরদেহ এসেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশী অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক জাছিয়া খাতুন বলেন, ‘বিদেশে অনেক বাংলাদেশি কর্মী অল্প বয়সে কাজ করতে গিয়ে মারা যান। তাদের মৃত্যুর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে, কারণ শ্রমিকদের আবাসন হয় নিম্নমানের। তাছাড়া, বিদেশে যাওয়ার খরচ উঠাতে তারা ব্যাপক চাপ নেন, অতিরিক্ত কাজ করেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খান না।’
তিনি বলেন, ‘মৃত্যু সনদে সাধারণত হার্ট অ্যাটাক উল্লেখ থাকে। তবে মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানার জন্য আরও পরীক্ষা করা উচিত। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’জাছিয়া খাতুন বলেন, ‘বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলো এ ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা থাকতে পারে।’