বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টধারী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে উত্তর ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। ১০৯ স্কোর নিয়ে দেশটি শীর্ষে অবস্থান করছে। এর ফলে এ দেশের পাসপোর্টধারীরা এখন বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। অন্যদিকে ৩৮ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১৮১তম স্থানে। দেশটির পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন বিশ্বের ৫০টি দেশে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) কর ও অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্ট পাসপোর্টের বৈশ্বিক মানের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করে। সেখান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বের ২০০টি দেশের ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা, বিদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের ওপর নির্ধারিত কর, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতাসহ পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই পাসপোর্ট সূচক তৈরি করা হয়েছে।
নোমাডের হালনাগাদ তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড ও গ্রীস। দেশগুলোর প্রাপ্ত স্কোর ১০৮ দশমিক ৫। আর চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে পর্তুগাল ও মাল্টা। দেশগুলোর স্কোর যথাক্রমে ১০৮ ও ১০৭ দশমিক ৫।
এ তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক আগে আছে নেপাল (স্কোর ৩৯ দশমিক ৫) এবং পরে আছে মিয়ানমার (স্কোর ৩৭ দশমিক ৫)। অপর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান সূচকে ১৪৮ তম (স্কোর ৪৭ দশমিক ৫) এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৯৫তম (স্কোর ৩২)।
আর সবচেয়ে দুর্বল (১৯৯তম) পাসপোর্টের দেশ হিসেবে এ তালিকায় স্থান পেয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির আগের তিনটি দেশ যথাক্রমে ইরাক, ইরিত্রিয়া এবং ইয়েমেন।
এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চে নোমাডের পাসপোর্ট সূচকে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তকমা পেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে এবারের হালনাগাদ তালিকায় ১০৬ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটি।
দশম অবস্থানে থাকলেও আমিরাতের নাগরিকরা এখন থেকে ১৭৯টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। অর্থাৎ তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের তুলনায় অতিরিক্ত ৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন দেশটির পাসপোর্টধারীরা।