স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কাউকে চাপ দিয়ে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা স্বপ্রণোদিত হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এসব নেতা-কর্মীরা তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। সেটা যারা পারবেন না, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও অংশ নেবেন। নির্বাচনে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুলের জামিন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি নেতাদের জামিন নামঞ্জুর হবার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো প্রভাব নেই।
গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন লুইস। কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি। তারা চাইলে তাদের জন্য আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়ার কথা আমাদের বলেছেন লুইস। আমরা বলেছি, নাফনদীর ওইপাড়ে মিয়ানমারের সীমান্ত। কিছুটা দুর্গম পথ রয়েছে, বাকিটা সহজ। যে কারণে তারা প্রবেশ করতে পারছে। আমরা দেখছি, মিয়ানমারের সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। চেহারা একইরকম হওয়ায় আমাদের এখানে আরাকান আর্মিরা ঢুকে পড়ে, আমরা দেখেছি। সে কারণে মাঝেমাঝে দুয়েকটা ঘটনা ঘটছে। আমরা বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে আরও সতর্ক থাকতে বলেছি, যাতে তারা না ঢুকতে না পারে।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সীমান্তের পাশেই থাকে। আমরা ভাসানচরে একটা সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। সেখানে এক লাখ মানুষ থাকতে পারে। একটি সুন্দর এলাকা তৈরি করে দিয়েছি। সেখানে মেডিকেল ইভাকুয়েশন সিস্টেম তৈরি করতে বলেছেন যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, আমাদের কোস্টগার্ড সেখানে সবসময় তৈরি থাকে। যে কোনো প্রয়োজনে তারা প্রস্তত থাকে। আরও দ্রুত কীভাবে সেখান থেকে মেডিকেল ইভাকুয়েশন করা যায়, তারা সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ অনুসারে কাজ করবো বলেও তাকে জানিয়েছি। লুইস স্বীকার করেছেন, ভাসানচরে থাকলে রোহিঙ্গারা নিরাপদে থাকবে। বিদেশিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে যেতে চায়-তাদের জানানো হয়েছে, আমাদের একটি নীতিমালা আছে, সেই অনুসারে তাদের সেখানে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে বলেন মন্ত্রী।