এক সপ্তাহের বিরতির পর আবার মাঠে ফিরছে আইপিএল। আগামী শনিবার, ১৭ মে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হাইভোল্টেজ ম্যাচ দিয়ে পুনরায় শুরু হচ্ছে ২০২৫ আইপিএল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সোমবার (১৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পরবর্তী ১৮ দিনে ১৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ছয়টি ভেন্যুতে। ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। প্লে-অফের ভেন্যু এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে নিশ্চিত হয়েছে, শুধুমাত্র দুইটি দিনেই থাকবে ডাবল হেডার—রোববার, ১৮ মে ও ২৫ মে।
চলতি আইপিএলের বাকি অংশের ম্যাচগুলো যে ভেন্যুগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে, তার মধ্যে রয়েছে—বেঙ্গালুরু, জয়পুর, দিল্লি, লক্ষ্ণৌ, মুম্বাই ও আহমেদাবাদ। ফলে চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং পাঞ্জাবের মতো দলগুলো তাদের হোম গ্রাউন্ডে আর ম্যাচ খেলতে পারছে না। উদাহরণস্বরূপ, চেন্নাই সুপার কিংসের শেষ হোম ম্যাচ হবে দিল্লিতে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে (২০ মে), এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শেষ ম্যাচও হবে দিল্লিতে কেকেআরের বিপক্ষে (২৫ মে)। দুই দলই বর্তমানে প্লে-অফের দৌড়ে নেই।
৮ মে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি বাতিল হয়েছিল, সেটি আবার অনুষ্ঠিত হবে ২৪ মে জয়পুরে। পাঞ্জাব কিংসের বাকি ম্যাচগুলোও জয়পুরে অনুষ্ঠিত হবে। মুল্লানপুর বাদ পড়েছে এবারের সূচি থেকে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এখনো প্লে-অফের দৌড়ে আছে। তারা ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে শেষ ম্যাচ খেলবে ২১ মে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।
ধর্মশালার ম্যাচে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার জেরে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ দেখা দিলে টুর্নামেন্ট এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে বিসিসিআই। এরপর সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পুনরায় সূচি নির্ধারণ করে বোর্ড।
বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সরকারি ও নিরাপত্তা সংস্থাসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
একাধিক বিদেশি খেলোয়াড় ইতোমধ্যেই ভারত ছেড়ে গেছেন। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট খেলোয়াড়দের নিয়ে রয়েছে সংশয়, কারণ আইপিএল ফাইনালের মাত্র এক সপ্তাহ পরই (১১ জুন) শুরু হবে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল।