রাজধানীসহ সারাদেশে গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ডেটলাইন ১০ ডিসেম্বর। এদিন ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। আর এ সমাবেশ তারা করতে চায় নয়াপল্টনে। এতে তারা ১০ লাখ লোকের জমায়েত করতে চায়।
তবে সরকার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিতে নারাজ, সরকার চায় বিএনপি এ সমাবেশ করুক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বিএনপির এ সমাবেশের আগের দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
যদিও সোহরাওয়ার্দীতে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের যে তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল তা পরিবর্তন করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ ডিসেম্বর।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে— বিএনপিকে সহযোগিতা করতেই ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
এদিকে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে ডালপালা মেলছে একের পর এক গুজব। ২৬ শর্তে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিলেও দলটি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ নগরবাসীর মনে।
১০ ডিসেম্বর ঘিরে সব আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে বিএনপির সমাবেশের ভেন্যু। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জনভোগান্তি এড়িয়ে বিএনপি যেন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পারে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ। ছাত্রলীগের সম্মেলনের পরপরই ভেঙে ফেলা হবে মঞ্চ। বিএনপির সমাবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়ার পেছনে সরকারের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। তারা নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চান। ফলে দিন যত এগোচ্ছে, তত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।