❏ সূর্যের দেখা মেলেনি অনেক এলাকায় ❏ ৪ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, বৃষ্টির পূর্বাভাস
❏ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিশোরগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায়
পৌষের শেষে চার জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে হিম হাওয়ায় কাঁপছে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ। বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও দেখা মেলেনি সূর্যের; ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে জবুথবু অবস্থা রাজধানীসহ উত্তরাঞ্চল জুড়ে। এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও তা গড়াতে পারে দুপুর পর্যন্তও। বিঘ্ন ঘটতে পারে বিমান, নৌ ও সড়কে যানবাহন চলাচলে।
এছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও দিনের তাপমাত্রা কমে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি চলতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচদিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলি ও চুয়াডাঙ্গায়, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসেবে চার জেলায় এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তবে এই শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহ যেটা আছে, আস্তে-আস্তে কমবে। কারণ তাপমাত্রা বাড়বে, দুই-এক দিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ কমে আসবে। তবে দিনের কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা আরও দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে, যার কারণে শীতের অনুভূতি থাকবে।