এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেয়ে সুপার ফোরের শুভসূচনা করল বাংলাদেশ দল। ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
শুরুতে দলীয় ১ রানের মাথায় তানজিদ হাসান তামিম কোনো রান না করেই বিদায় নেন। পরবর্তীতে সাময়িক সেই চাপ সামলে নেন সাইফ হাসান এবং লিটন দাস। একসময় ৫০ রানের জুটিও পার করেন এই দুই ব্যাটার।
তবে দলীয় ৬০ রানে লিটন ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৩ রান করে। এরপর সাইফ একাই চার ছক্কার ইনিংস খেলতে থাকেন, তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। একসময় সাইফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধ-শতক। তখন ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছিলেন হৃদয়। এরপর ৪৫ বলে ৬১ রান করে বিদায় নেন সাইফ। ইনিংসটি সাজান ৪ ছক্কা ও ২ চারে। জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন হৃদয়।
তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি হৃদয়। জয়ের জন্য যখন ১০ রান প্রয়োজন ঠিক তখনই দুষ্মন্ত চামিরার বলে এলবিডব্লিউ হন হৃদয়। আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৫৮ রানের ইনিংস। ৪ চার ও ২ ছক্কায় তার আউট হওয়ার পর কিছুটা নাটকীয়তা দেখা যায় ম্যাচে।
শেষ ওভারে ৫ রান প্রয়োজন ছিল। প্রথম বলে ৪ মেরে ম্যাচ ড্র করেন জাকের আলি অনিক। তবে শেষ তিন বলে জাকের ও শেখ মেহেদী আউট হলে ম্যাচ জমে যায়। তবে পঞ্চম বলে নাসুম আহমেদ এক নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কা দাসুন শানাকার ফিফটিতে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পায়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান তোলেন পাতুম নিশাঙ্কা-কুশল মেন্ডিস। পরে ২২ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
তবে শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য এনে দেন শানাকা। ৩৭ বলে খেলেছেন ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১৭২.৯৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান ৬ ছক্কা ও ৩ চারে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
২৪ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ, প্রতিপক্ষ ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৬৮/৭ (শানাকা ৬৪*, কুশল মেন্ডিস ৩৪, নিশাঙ্কা ২২, আসালাঙ্কা ২১, কুশল পেরেরা ১৬; মোস্তাফিজ ৩/২০, মেহেদী ২/২৫)। বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৬৯/৬ (সাইফ ৬১, হৃদয় ৫৮, লিটন ২৩, শামীম ১৪*; শানাকা ২/২১, হাসারাঙ্গা ২/২২)। ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাইফ হাসান।