নিজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে অন্যকে ভালো রাখা যায় না। আপনার সঙ্গী যখন নিজেকে গুরুত্ব দেবে, নিজের খেয়াল রাখবে– তা দেখে আপনারও ভালো লাগবে। কিন্তু তা যদি সীমা ছাড়িয়ে যায়?
প্রথমদিকে ভালো লাগলেও অতিরিক্ত আত্মপ্রেম সঙ্গীর জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। তাই শুরুতেই বুঝে নেওয়া দরকার আপনার সঙ্গী আত্মপ্রেমী বা নার্সিসিস্ট কি না। মিলিয়ে নিন বৈশিষ্ট্যগুলো-
১. অন্যের সঙ্গে তুলনা
সম্পর্কে মতের অমিল হওয়া খুব স্বাভাবিক। ছোটোখাটো নানা বিষয়ে টুকটাক ঝামেলা সবারই হয়। কিন্তু তা একান্তই দুজনের বিষয়। সেখানে তৃতীয় ব্যক্তিকে জড়িয়ে ফেলা কাম্য নয়। একইভাবে অন্য কারও সঙ্গে প্রেমিক বা প্রেমিকার তুলনা করাও ঠিক নয়। কিন্তু নার্সিসিস্টরা ঠিক সেই কাজই করেন। সঙ্গী যদি আপনাকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করেন, আপনার মধ্যে এমন কিছু বদল চান, যা পরিচিত অন্য কারও রয়েছে, তাহলে সতর্ক হয়ে যান।
২. ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল
ভালোবাসা কখনো জোর করে আটকে রেখে হয় না। সঙ্গী যদি ভয় দেখিয়ে বা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলি করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন, তাহলে বুঝবেন সমস্যা আছে।
৩. গোপনীয়তা
এ ধরনের মানুষেরা সত্য গোপন করতে দক্ষ। চারপাশে অনেক কিছু আপনার মনে প্রশ্ন জাগিয়ে তুললেও তিনি নিজের আচরণ দিয়ে আপনাকে ভুলিয়ে দেন নিমেষে। এখানেই শেষ নয়, কোনো কিছুই পরিষ্কার করে বলেন না তারা- হাবভাবেই রহস্য। তবে আচরণে তারা আপনাকে এতটাই মানসিকভাবে দুর্বল করে রাখে যে হাজার অন্যায় জেনেও ফিরে যেতে বাধ্য হন।
৪. দূরত্ব ও নির্ভরশীলতা
আত্মপ্রেমীরা কখনই চান না যে তার সঙ্গী কারও সঙ্গে যোগাযোগ করুক। বন্ধু-বান্ধব বা পরিবার, সবার থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে তাদের। ফলে আপনি সঙ্গীর ওপর অনেকটা বেশি নির্ভরশীল হয়ে যান, যা দিনশেষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।
৫. ভুল স্বীকার না করা
বড়োসড়ো অন্যায় করেও তারা ভুল স্বীকার করতে রাজি নন। তার বদলে হয়তো বলবে, ‘তোমার খারাপ লেগেছে তাই দুঃখ প্রকাশ করছি।’ অর্থাৎ নিজের অপরাধের জন্য কখনই আত্মগ্লানিতে ভোগেন না।
সূত্র: সায়েন্স ডিরেক্ট (২০১৬), ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস (২০২১), জার্নাল অব পার্সোনালিটি (২০১৩), জার্নাল অব পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি (২০১৩), জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপস (২০১৭), এমডিপিআই বিহেভিয়রাল সায়েন্সেস (২০২৩), ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি (২০১৩)