বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সলের বাবা-মা গ্রেপ্তার

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সলের বাবা-মা গ্রেপ্তার

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় প্রধান আসামি ফয়সলের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‍্যাব-১০ তাদের গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


গ্রেপ্তারেরা হলেন–মো.হুমায়ুন কবির (৭০) ও মোসা. হাসি বেগম (৬০)।

এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে র‍্যাব-১০ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। ফয়সলের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেপ্তারদের চার সন্তানের মধ্যে আসামি শুটার ফয়সাল তৃতীয়। আসামি শুটার ফয়সাল রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় তার বোন মোসা. জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করত। ঘটনার দিন রাতে আসামি শুটার ফয়সাল জেসমিন আক্তারের বাসায় একটি ব্যাগ নিয়ে ওঠে। পরে ওই বাসার চিপা দিয়ে কালো ব্যাগটি ফেলে দেয় এবং আবার আসামি তার ভাগনে জামিল (১৮)-কে দিয়ে ব্যাগটি নিয়ে আসে। আসামি তার নিজ ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেয় এবং অন্যটি তার মা মোসা. হাসি বেগমকে দেয়।


তিনি আরও বলেন, পরে সেখানে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে। সেখানে আসামি শুটার ফয়সাল তার অবস্থান নিরাপদজনক মনে না হওয়ায় আগারগাঁও থেকে মিরপুর, পরে শাহজাদপুরে আসামি মো. হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা আরিফের বাসায় যায়। শুটার ফয়সালের ব্যাগ নিয়ে তার বাবা মো. হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি ভাড়া করে দেন এবং সঙ্গে কিছু টাকাও প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিরা তার ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবলু ওরফে রাজের কেরাণীগঞ্জের বাসায় আসে এবং তারা জুরাইন থেকে দুটি মোবাইল সিম কিনে ব্যবহার করে।


এর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফয়সলের স্ত্রী, বান্ধবী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।


হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে গত রোববার রাতে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।


গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে ওসমান হাদি হামলার শিকার হন। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে মোটরসাইকেলে এসে গুলি করা হয়। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ