পটুয়াখালীর কুয়াকাটা শুধু সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জন্যই বিখ্যাত নয়, সমুদ্র উপকূলের বিচিত্র সৌন্দর্যেও এ অঞ্চলের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। কুয়াকাটার পূর্বদিকে সাগরের বুকে উদ্ভাসিত এক দ্বীপাঞ্চল হলো লেবুর চর। স্থানীয়রা একে ঝিনুকের স্বর্গরাজ্য বলে থাকেন।
লেবুর চরের বালুময় তটে হেঁটে গেলে চোখে পড়ে নানা রঙের ঝিনুক। সাদা, বাদামি, লালচে থেকে শুরু করে দাগ কাটা কিংবা নকশা খচিত—শত শত প্রজাতির ঝিনুকের সমাহার রয়েছে এখানে। পর্যটকরা ভোরে বা বিকেলে এ চর ভ্রমণে আসেন ঝিনুক কুড়াতে এবং প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, বর্ষা মৌসুমে সাগরের ঢেউ তীর ভাঙতে ভাঙতে এই চর জুড়ে ছড়িয়ে দেয় অগণিত ঝিনুক ও শামুকের খোলস। শীতকাল পর্যন্ত এ দৃশ্য বজায় থাকে। তাই শীত মৌসুমে লেবুর চর হয়ে ওঠে ঝিনুকপ্রেমীদের মিলনমেলা।
লেবুর_চর
ঝিনুক ছাড়াও লেবুর চরে দেখা মেলে লাল কাঁকড়ার ঝাঁক। সূর্যের আলোয় ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে চলা এসব কাঁকড়া চরকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়। দূর থেকে মনে হয়, লালচে কার্পেট বিছানো রয়েছে সাগর তটজুড়ে। এ দৃশ্য মুগ্ধ করে ভ্রমণপিপাসুদের।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লেবুর চরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে দিন দিন। তবে পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সুরক্ষার ব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে এটি আন্তর্জাতিক মানের একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে রূপ নিতে পারে।
প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের জন্য লেবুর চর সত্যিই এক বিস্ময়। ঝিনুকের রঙিন সমাহার আর সাগরের গর্জন একসঙ্গে মিলে সৃষ্টি করেছে এক অনন্য স্বর্গরাজ্য, যা কুয়াকাটার সৌন্দর্যকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।