সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

দীপাবলি ও শ্যামাপূজা

দীপাবলি ও শ্যামাপূজা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা (কালীপূজা) ও দীপাবলি উৎসব আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে প্রতি বছর এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শক্তি ও শান্তির প্রতীক দেবী শ্যামা মায়ের আরাধনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে পূজার আয়োজন চলছে, আর সর্বত্র বিরাজ করছে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস।

মূলত দীপাবলী আলোর উৎসব হিসেবে পরিচিত। এটি অশুভ শক্তির পরাজয় ও শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক। অন্ধকার দূর করে আলোকিত জীবন ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠায় এই উৎসব পালিত হয়।

দুর্গা ও কালীপূজার মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করতে গিয়ে পুরাণে বলা হয়—দুর্গা অন্নদাত্রী ও উর্বরা শক্তির দেবী, আর কালী প্রলয় ও ধ্বংসের প্রতীক। বিশ্বাস করা হয়, কালী দেবী দুর্গার ললাট থেকে উৎপন্না—অর্থাৎ ক্রোধ ও শক্তির প্রকাশই তাঁর রূপ।


শাস্ত্রমতে দেবী কালীর ১১টি রূপ রয়েছে, প্রতিটির মাহাত্ম্য ও আরাধনা ভিন্ন। কালীপূজার এই আরাধনাকে অনেক স্থানে “শ্যামাপূজো” বা “মহানিশি পূজা” বলা হয়।


দীপাবলি ও কালীপূজা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের মন্দিরগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পূজার মন্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে ভক্তরা দেবী কালীর পূজা করছেন।


লোকবিশ্বাস অনুযায়ী কালী হলেন শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, তাই অনেক স্থানে শ্মশানে মহাধুমধামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্মশানকালী পূজা। রাজধানীর পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার ও সূত্রাপুর এলাকায় শ্যামাপূজার আয়োজন চলছে ঘটা করে। এছাড়া রমনা কালীমন্দির, মা আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির ও বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেবী আরাধনা ও দীপাবলির উৎসব।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ