প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধি একটি দল।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লা এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়ার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে আমাদের মতে এটি নতুন কিছু নয়। গণভোট আইন আজ পাস হয়েছে। তাই নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো বিতর্ক নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রবাসী ভোটারদের অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়ানো এবং বাংলাদেশি পাসপোর্টকে ভোটারের পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচনা করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের সিডিউলে এক ধরনের সুযোগ আছে—মূল নিবন্ধন শেষে যারা বাদ পড়বে, তাদের জন্য অতিরিক্ত নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হবে।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
বিএনপির এই নেতা বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, প্রবাসীদের অনেকেরই এনআইডি নেই। বাস্তব কারণে বেশিরভাগই এনআইডি করতে পারেননি এবং সব দেশেই নতুন এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা প্রস্তাব করেছি, বাংলাদেশি পাসপোর্টকেও পরিচয়পত্র হিসেবে ধরে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বিএনপির সহযোগিতা চেয়েছেন উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতার কথা জানিয়েছি। আমরা দলের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নিচ্ছি—যেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিবন্ধনে উৎসাহিত হন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেও নির্দেশনা দিয়েছেন—দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদের অংশগ্রহণ জরুরি।
এ সময় পুলিশ সুপারদের লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সুপারদের লটারির মাধ্যমে বদলি একটি রাজনৈতিক দলের দাবি। এটি ভালো পদ্ধতি হতে পারে না। কারণ সবার বিশেষ বিশেষ যোগ্যতা থাকে এবং লটারির মাধ্যমে দায়িত্ব দিলে তা ভালো ফল নাও দিতে পারে। তবে এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, লটারিতে এসপি বদলির বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত মতো। সাংবাদিকদের মধ্যেও কেউ কেউ ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পান যোগ্যতার ভিত্তিতে। তাই এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম


















