জাপানে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে একা বাড়িতে অবস্থানের সময় অন্তত ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, দেশটিতে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষের বাস। তাদের বেশিরভাগই নিজ বাড়িতে একা থাকতে বাধ্য হন। খবর: বিবিসি
দেশটির ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির তথ্য অনুসারে, অন্তত ৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর এক মাসেরও বেশি সময় পরে জানা গেছে। আর এক বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পর ১৩০টি মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে মোট ৩৭ হাজার ২২৭ জনকে একাকী বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বয়স ৬৫ বা তার বেশি।
তথ্য অনুসারে, এদের মধ্যে ৭ হাজার ৪৯৮ জনের বয়স ৮৫ বছর বা তারচেয়ে বেশি। ৭৫ থেকে ৭৯ বছর বয়সীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯২০। ৭০ থেকে ৭৪ বছর বয়সী ৫ হাজার ৬৩৫টি মৃতদেহ পাওয়া যায়।
জাপানি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ বলেছে, ২০৫০ সাল নাগাদ দেশটিতে একা বসবাসকারী বয়স্ক নাগরিকদের (৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী) সংখ্যা এক কোটি ৮০ হাজারে পৌঁছাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে জাপানের বিভিন্ন পরিবারে ১ কোটি ৮ লাখ বয়স্ক মানুষ একা বসবাস করবেন; মোট পরিবারের হিসাবে এটি ২০ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার। জাপানি তরুণ-তরুণীদের দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতা বা অনেকের সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে প্রবীণদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জনসংখ্যাগত সংকটের মুখে পড়েছে জাপান। সেখানে চিকিৎসা ও কল্যাণ ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। বিপরীতে কমছে শ্রমশক্তি।
জাতিসংঘের হিসাবে, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রবীণ জনসংখ্যার দেশ জাপান। জাপান ছাড়া চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যাও ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
//এলএইচ//