ওল্ড ট্রাফোর্ডে শুক্রবার রাতটা রেকর্ডের রাতই হয়ে থাকল। ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩০০ রান পার করল। তাতে বাংলাদেশ লজ্জার এক রেকর্ড থেকে মুক্তি পেল বৈকি!
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত রাতে ইংল্যান্ড তুলেছে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৪ রান। জবাবে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় মাত্র ১৫৮ রানে। ফলে ইংল্যান্ড জয় পায় ১৪৬ রানের বড় ব্যবধানে। তিন ম্যাচ সিরিজ এখন ১-১ এ সমতায়।
দিনটা ছিল ফিল সল্টের। কার্ডিফে আগের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া এই ওপেনার এবার ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন। মাত্র ৬০ বলে খেললেন অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস। ইনিংসে ছিল ১৫ চার আর ৮ ছক্কা। তাঁর চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শতক এল মাত্র ৩৯ বলে। এটি ইংল্যান্ডের যেকোনো ফরম্যাটে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। আগের রেকর্ড ছিল লিয়াম লিভিংস্টোনের, যিনি ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ৪২ বলে সেঞ্চুরি।
সল্টের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ঝড় তোলেন জস বাটলারও। মাত্র ৩০ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ৭ ছক্কা। দুজন মিলে ৭.৫ ওভারে দলকে এনে দেন ১২৬ রানের জুটি। বাটলার আউট হওয়ার পর হ্যারি ব্রুক খেলেন অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের অবস্থা ছিল করুণ। কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে দিলেন ৭০ রান, উইকেটশূন্য। লিজাদ উইলিয়ামস খরচ করলেন ৩ ওভারে ৬২ রান। কেবল স্পিনার বিওর্ন ফোর্টুইন কিছুটা সফল হন। তিনি নিলেন ২ উইকেট, খরচ করেন ৫২ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুত উইকেট হারায়। অধিনায়ক আইডেন মারক্রাম কিছুটা লড়াই করে করেন ৪১ রান। কিন্তু বাকিরা দাঁড়াতেই পারেননি। পুরো দল গুটিয়ে যায় ১৬.১ ওভারে ১৫৮ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে জোফ্রা আর্চার নিয়েছেন ৩ উইকেট, খরচ করেছেন মাত্র ২৫ রান।
প্রথমবারের মতো দুটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩০০ রানের বেশি হলো। এর আগে দুই এলিট প্যানেলের দলের ম্যাচে সর্বোচ্চ ছিল ভারতের, যারা ২০২৪ সালে তারা তুলেছিল ২৯৭ রান। এই রেকর্ডটা ভারত করেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের এই তাণ্ডবে একটা লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি মিলল বাংলাদেশের।
রবিবার ট্রেন্ট ব্রিজে হবে এই সিরিজের শেষ ম্যাচ। কে জানে সে ম্যাচ কোন রেকর্ড লুকিয়ে রেখেছে!