ঢাকায় সোহাগ নামে এক যুবককে হত্যার পর থেকে চাঁদাবাজির ইস্যুটি দেশজুড়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করে এনসিপির এক কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান।
রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে ওই ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। ভিডিওটি পোস্ট করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
চলতি বছরের ১৪ মে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন একজন নারীর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা গ্রহণ করছেন। তখন ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে সাত লাখ টাকা, ১০ লাখ থাকার কথা ছিল ভাইয়া। একটু ক্রাইসিস বুঝেন না!’ এ সময় সাত লাখ দেওয়ার বিষয়ে এনসিপি নেতা বলেন, ‘ভাইকে বলছেন?’ জবাবে নারী বলেন, ‘হ্যাঁ বলেছি’।
পোস্ট করা ওই ভিডিওতে ভাই বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ওই নারী অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ দেওয়ার আশ্বাসে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪৮ লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে কোনো কাজ বা প্রজেক্ট কিছুই দেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টির বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে, এনসিপির নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে তাকে দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ভিডিওটির মেটা ডাটা বলছে:
গত ১৪ মে ২০২৫, রাত ৯.২১ মিনিটে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এটি ধারণ করা হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন একজন নারীর কাছ থেকে ৭লক্ষ টাকা গ্রহণ করছেন। কোন এক ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য, কিন্তু উনি দিয়েছেন ৭ লক্ষ। ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ওই নারী জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ দেয়ার আশ্বাসে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা চাঁদা প্রদান করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে কোন কাজ বা প্রজেক্ট কিছুই দেয়া হয়নি।